,

ঈদে তারকারা কে কোথায়

সময় ডেস্ক ॥ দু’দিন বাদেই ঈদ। আর এই ঈদকে ঘিরে সর্বত্র চলছে নানা পরিকল্পনা, আয়োজন। আমাদের শোবিজ তারকারাও পিছিয়ে নেই এক্ষেত্রে। সেসব নিয়েই তারকাদের নিজ বয়ানে এ প্রতিবেদন। গ্রন্থনায় বিনোদন ডেস্ক ওমর সানি-মৌসুমী: আমরা এবার ঈদ করবো কাতারের রাজধানী দোহায়। সেখানে প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ই জুলাই কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবো। ১৮ এবং ১৯শে জুলাই সেখানে অবস্থান করে ২০শে জুলাই দেশে ফিরবো। ১৯শে জুলাই ঈদ হলে আমাদের ঈদটা সেখানেই করতে হবে। মা-বোন, ছেলেমেয়েকে রেখে বিদেশে ঈদ করতে খুব একটা ভাল লাগবে না। তবে হাজার হাজার প্রবাসী বাঙালি ভাইবোনকে আনন্দ দিতে পারবো বলে তাদের সঙ্গেই ঈদ করবো। প্রবাসী ভাইবোনেরা আমাদের অনেক ভালবাসেন। তাদের আনন্দ দিতে পারলেই আমাদের ঈদের আনন্দটা পরিপূর্ণ হবে। দেশে ফিরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে টানা কয়েকদিন আনন্দ করবো। এ কয়েক দিনের পুরো সময়টাই তাদের দেবো। রিয়াজ: ঈদ এবার ঢাকাতেই করবো। এবারের ঈদ আমাদের জন্য অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসছে। এই প্রথম ঈদ করবো আমার মেয়ে আমিরা সিদ্দিকীকে নিয়ে। বলা যায় অন্যরকম একটা ঈদ হবে। অবশ্য প্রতিদিনই আমাদের বাসায় ঈদের আনন্দ বইছে। মেয়েটা চোখের সামনে বেড়ে উঠছে। দিনে দিনে তার বেড়ে ওঠা চোখে দেখছি, মুগ্ধ হচ্ছি। মেয়ের জন্য বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় সব সময় ওর পাশে থাকি। মেয়েকে নিয়ে এবারের ঈদটা হবে আমার জীবনের সেরা ঈদ। জাহিদ হাসান: আমি ঈদটা সব সময় মায়ের সঙ্গেই করতাম। কিন্তু এই প্রথম মাকে ছাড়া ঈদ করতে হবে। কারণ মা এখন পরপারে। ঈদের দিন মায়ের কাছে থাকাটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আনন্দের ছিল। এবারও প্রতিবারের মতো ঈদে নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জেই থাকবো বলে ঠিক করেছি। মায়ের হাতের রান্না খেতে আমি খুব ভালবাসি। কিন্তু এবার আর সেটা হচ্ছে না। বলা চলে ঈদ যেমন সবার জন্য আনন্দের, আমার কাছেও তা। কিন্তু মা বিহীন ঈদ কতটা আনন্দে পার করতে পারবো সেটা জানি না। হাবিব ওয়াহিদ: আমার ঈদ ঢাকাতেই করা হয় বেশির ভাগ। এবার ঈদেও ঢাকাতেই থাকছি। পরিবারের সঙ্গেই ঈদটা কাটাবো। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও যেতে পারি। আসলে কোন পরিকল্পনা থাকে না ঈদে। তবে রোজা এলেই তো কেনাকাটা শুরু হয়ে যায় বাসায়। আমেজটা তখনই অনুভব করি। আমি যখন যা মন চায় ঈদের দিন সেটাই করবো। তিশা: ছোটবেলায় ঈদের সময় অনেক ঘুরতাম। কিন্তু এখন আর সেভাবে ঘোরা হয় না। আসলে পারি না। আমার কাজের চাপ তো আছেই, ফারুকীরও একই অবস্থা। একসঙ্গে অবসর তেমন একটা মিলে না বললেই চলে। তবে বিয়ের আগে একভাবে ঈদ করতাম, এখন অন্যভাবে করি। আগে ছিলাম মায়ের মেয়ে, এখন বাড়ির বউ। দায়িত্বও তাই একটু বেশি। তবে আমি ঢাকাতেই ঈদ বেশি করি। এবারের ঈদটাও ঢাকাতেই করব। ঈদের দিন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাব। আম্মার সঙ্গেও দেখা করব। আড্ডা হবে, খাওয়া-দাওয়া হবে। তবে ঈদের পরপরই শুটিং শুরু হয়ে যায়। তাই অবসর খুব বেশি মিলছে না। অপূর্ব: আমি ঈদে ঢাকাতেই থাকি। ঈদে বন্ধুদের নিয়ে ঘোরার বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে। আগে তো পড়াশোনার চাপে সচরাচর কোথায় ঘুরতে যাওয়া হতো না। ঈদ এলে সেই সুযোগটা পেতাম। ঈদের সময়টা আমার জন্য একেবারে আলাদা। সারাদিন শুধু ঘুরে বেড়াতাম। ঢাকার অলিগলি চষে বেড়াতাম। বাবার কাছ থেকে কিছু পকেটমানি নিয়ে নিতাম। সেলামির টাকা তো থাকতোই। খুঁজে খুঁজে বের করতাম কাকে সালাম করে সালামি পাওয়া যায়। সেই টাকা নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হতাম। ঘুরতে ঘুরতে পছন্দের খাবার কিনতাম। তবে ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাওয়া হতো না। এবারের ঈদটাও ঢাকায় করবো। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে হয়তো যাবো। জাকিয়া বারী মম: ছোটবেলায় প্রতি ঈদেই নানাবাড়ি বেড়াতে যেতাম। কাজিনদের সঙ্গে ড্রেস নিয়ে প্রতিযোগিতা চলত। জামা-কাপড়ের তুলনায় ঈদের জুতার ব্যাপারে আমার একটু বেশি আগ্রহ ছিল। অন্যগুলো আর যা-ই হোক, যেনতেন জুতা আমি কখনোই নিতাম না। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা কিনতাম। কেউ জুতায় হাত দিলে রঙ নষ্ট হওয়ার ভয়ে আমি নতুন জুতা নিয়েই রাতে ঘুমাতাম। ঈদের দিন নানাবাড়িতে বেড়াতে গেলে অনেক মজা হতো। সবাই একসঙ্গে টিভি দেখাতাম, বাইরে ঘুরতে যেতাম, বিভিন্ন খাবার খেতাম। এখনতো ঈদের আনন্দ আর সেরকম অনুভব করি না। তবে এবারের ঈদটা ঢাকায় করব। এ দিন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা বাসায় আসবে। আমিও সময় সুযোগ মিলে গেলে হয়তো ঘুরতে বের হবো।


     এই বিভাগের আরো খবর